বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৪১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
ভোলার পশ্চিম ইলিশায় দেবর-ভাবির পরকীয়া ফাঁস

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় দেবর-ভাবির পরকীয়া ফাঁস

dynamic-sidebar

আকতারুল ইসলাম আকাশ॥ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে দেবর-ভাবির পরকীয়া প্রেম ফাঁস হয়েছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।

তবে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঠিক বিচার পায়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বরং হুমকির মুখে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও।

সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের মোঃ কামাল মিস্তিরি প্রায় ৬ বছর আগে বিয়ে করেন লাবলি নামে এক মেয়েকে। বর্তমানে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। কামাল পেশায় একজন ঠিকাদার। দীর্ঘ বছর ঢাকায় ঠিকাদারি করে আসছেন। সেই সুবাদে স্ত্রী লাবলি বেগমকেও ঢাকায় রাখতেন নিজের কাছে। প্রায় চার মাস আগে সাগর নামে দূরসম্পর্কের এক ছোট ভাইকে নিজের বাসায় আশ্রয় দেন কামাল। এক পর্যায়ে আশ্রয় দেওয়া ছোট ভাইয়ের সাথে পরকীয়ার গভীর সম্পর্ক হয় লাবলি বেগমের। প্রথমে কামাল তাদের পরকীয়া টের না পেলেও পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা তাদেরকে সন্দেহ হলে পরকীয়ার কথা কামালকে জানায়। তখন কামালও তাদের পরকীয়া সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুটা দৃষ্টি রাখে। সর্বশেষ কামাল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি পশ্চিম ইলিশার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে নিয়ে আসেন স্ত্রী লাবলি বেগম ও ছোট ভাই সাগরকে। গ্রামে আসার পর থেকে অনেক দিন ধরে রাতের আঁধারে তাদের দুজনকে চোখে চোখে রাখতেন কামাল। অবশেষে গত বুধবার রাত প্রায় এগারোটা দিকে সাগর ও স্ত্রী লাবলি বেগমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পেলেন স্বামী কামাল। তখন লাঠি দিয়ে কামাল স্ত্রীকে ও সাগরকে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবলি বেগম আশ্রয় নেন স্থানীয় মেম্বার সেলিম হাওলাদারের বাসায়। পরে স্বামী কামাল ও স্থানীয় মহিলা মেম্বার বেগম লাঠ মেম্বার সেলিম হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে লাবনিকে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেম্বার সেলিম হাওলাদার লাবলিকে দিতে অস্বীকার করেন। এই নিয়ে সেলিম হাওলাদারের সাথে মহিলা মেম্বার বেগম লাঠের তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের আশ্বাসে সেলিম হাওলাদারের বাড়ি থেকে চলে আসেন মহিলা মেম্বার ও স্বামী কামাল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলহাজ্জ্ব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এর সমাধান করে দিয়ে স্ত্রী লাবলিকে মহিলা মেম্বার বেগম লাঠের হেফাজতে ঢাকা নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মানব অধিকার পরিচয় দেওয়া কর্মীরা লাবলিকে অসুস্থ বলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

লাবলি বেগম জানান, আমার কোন দোষ নেই। বরং আমার স্বামী কামালের সাথে সাগরের মায়ের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো। আর আমি বাঁধা দেওয়ায় সে আমাকে মেরেছে।

লাবলির স্বামী কামাল জানান, সাগরের সাথে আমার স্ত্রীরির ফোনের সকল কথা রেকর্ড ছিলো আমার কাছে। গোপনে সে ফোন নিয়ে সকল রেকর্ড ডিলিট করে পেলেছে। আমি তাকে এই বিষয় নিয়ে কথা বললে সে তা স্বীকার করে বলে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। আমার কাঁদে শয়তান উঠেছে তাই আমি এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছি। স্ত্রীরির এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিয়েও কোন বিচার পাইনি। উল্টো মেম্বার সেলিম হাওলাদার আমার স্ত্রীকে তার ঘরে আটকিয়ে রেখেছে এক রাত একদিন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্ত্রী ঢাকা যাওয়ার পথে কে বা কারা এসে সে অসুস্থ এই কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমার স্ত্রী এক রাতে মেম্বারের ঘরে থেকে কিভাবে অসুস্থ হয়?

মহিলা মেম্বার বেগম লাঠ জানান, লাবলির পরকীয়া দেখে স্বামী তাকে মেরেছে। ফোনে সাগর লাবলির সকল রেকর্ড আমি শুনেছি। তারা একে অপরকে ফোনে অনেক বাজে কথা বলেছে। কামাল তাকে মারার পর সে সেলিম হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে। আমি তাকে আনতে গেলে সেলিম হাওলাদার আমাকে বাঁধা দেয়। পরে চেয়ারম্যান এর সমাধান দিবে বলেও দেয়নি। সেলিম হাওলাদার মেয়েটাকে আটকিয়ে রাখার কে? সে মেয়েটাকে আটকিয়ে রেখে কি করছে?

তবে মেম্বার সেলিম হাওলাদার জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি তাকে আশ্রয় দিয়েছি। সে তার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বাড়িতে এসে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছে। তখন চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাকে আশ্রয় দিয়েছি।

চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি। সেলিম হাওলাদার আমাকে ফোনে বলেছে। পরে আমিই তাকে আশ্রয় দিতে বলেছি। এক পর্যায়ে আমি সমাধান করে মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিতে বলি। পরে শুনেছি কারা যেন এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে।

ভোলা মডেল থানার তদন্ত মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, এই রকম কোন বিষয় আমার জানা নেই।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net